ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হাসানুজ্জামান। এর আগে বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহীমের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান। অন্যদিকে মুফতি ইব্রাহিমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মুফতি ইব্রাহিমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানায় করা এ মামলায় ওইদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের এসআই মো. হাসানুজ্জামান রিমান্ডের এ আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।
সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিল, ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে কাজী ইব্রাহিম আলোচনায় আসেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে কাজী ইব্রাহীমকে ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে ডিবি পুলিশ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে কোভিড টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোসহ সরকার ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়। এছাড়া জেডএম রানা নামের একজন গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি প্রতারণার মামলাও করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।